আজ || রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
শিরোনাম :
  গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটানোর ঘটনায় ১৬ জনকে জেলহাজতে প্রেরণ       গোপালপুরে দারোগার মাথা ফাটিয়েছে সন্ত্রাসীরা; গ্রেফতার ১০       গোপালপুরে প্রধানমন্ত্রীর ফেয়ার প্রাইজের চাল কালোবাজারে বিক্রির অভিযোগ       গোপালপুরে ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মোমেনের পদত্যাগ       উত্তর টাঙ্গাইল নূরানী মাদরাসার বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় দুর্যোগ প্রস্তুতি দিবস উদযাপন       গোপালপুরে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নারী দিবস পালিত       গোপালপুরে পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় শিশু ও নারী নিহত       গোপালপুরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে নগদ অর্থ প্রদান       গোপালপুরে জাতীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির সংবর্ধিত    
 


আজ ১০ ডিসেম্বর গোপালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালন

কে এম মিঠু, গোপালপুর :

নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আজ ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের গোপালপুর হানাদার মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।

দিবসটি উপলক্ষে আজ রবিবার (১০ ডিসেম্বর) উপজেলার সকল অফিস-আদালত, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানপাটে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকালে মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাসহ স্থানীয় স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ এ পুষ্পস্তকব অর্পণ শেষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির। এ সময় বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট আব্দুল গফুর, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সমেরেন্দ্র নাথ সরকার বিমল, বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট শামসুল আলম, থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল মোর্শেদ, আলমনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মোমেনসহ মুক্তিযোদ্ধা, আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

অপরদিকে ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ এ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সৈয়দা ইয়াসমিন সুলতানা।

উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রায় ৮ মাস পাকহানাদার বাহিনী কর্তৃক গোপালপুরবাসী হত্যা, ধর্ষণ ও পাশবিক নির্যাতনের পর ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের গোপালপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধারা জয় বাংলা শ্লোগান দিয়ে গোপালপুর থানা দখল করে মুক্তির স্বাদ লাভ করে। গোপালপুর থানা আক্রমণ ও দখলের যুদ্ধে দুইজন পাক সেনা নিহত ও ১৫ জন রাজাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিকট আত্মসমর্পন করে এবং তিনশত জন রাজাকার ধরা পরে। তাদের মধ্যে ৭৫ জন রাজাকারকে গুলি করে হত্যা করে একটি ইন্দিরায় (কূপে) ফেলে দেয়া হয়। পাক সেনাদের প্রায় ৮০টি বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র মুক্তিযোদ্ধাদের হস্তগত হয়। কোম্পানী কমান্ডার নূর হোসেন তালুকদার আঙ্গুর শত্রু সেনাদের কাছ থেকে পাওয়া সকল অস্ত্র ও অন্যান্য জিনিসপত্র আসাদুজ্জামান আরজু কোম্পানী কমান্ডারের নিকট থেকে বুঝে নেন। পরে নূর হোসেন তালুকদার আঙ্গুরের নেতৃত্বে গোপালপুর থানায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা চালু হয়।

মন্তব্য করুন -


Top
error: Content is protected !!